Wednesday, August 18, 2010

ন্যাকারবোকার পদ্য

একা ন্যাকা খাচ্ছিল শাঁক আলু সেদ্ধ,
 তার সাথে দু পাঁইট ছিল যে বরাদ্দ।
  হেনকালে বোকা এসে বলে ন্যাকা ভাই রে,
  তোর আছে লাইসেন, মোর কিছু নাই রে।
  ন্যাকা বলে, "শোন তবে কুমড়োর ছেঁচকি,
  ফার্স্ট তোকে হতে হবে মোর মত সেস্কি।
  দুই ফোঁটা এন জি ও, পাঁচ ফোঁটা কর্পো,
  কানে গুঁজে মহা রেলা  জনসম্পক্কো।
  এক হাতে দাড়িদা বা দেরিদার বাইবেল,
   আর হাতে মোবাইল, বাকার্ডির মাইফেল"।

   বোকা বলে, "ন্যাকামামু, এত সব শত্ত,
   সাকুল্যে বডিমাঝে নয়খান গত্ত।
   দুইটায় বাঁশি বাজে, বাকিগুলা বন্ধ,
   পেটো ফাটে, নাকে পাই বিপ্লব গন্ধ।
   পাঁচঘরা হাতে মেঘনাদবধকাব্য,
   দুটো লাশ ফেলে ভাবি কমিউন সভ্য।
   এইরম পেঁচো দেহে ঐরম কালচার,
   কদিনেই ভুলে যাব সোনাগাছি বাসা কার"।
   হঠাত্ সামনে দেখে গাধাপিঠে প্যালারাম,
   ঝোলাভরা ল্যাপটপ, হাতে বাজে টিন ড্রাম।
   বলে খোমা গম্ভীর, "বোকা মোর ভাই রে,
   দুনিয়াটা অ্যালায়েন্স, আর কিছু নাই রে।
  একা নিবি, একা খাবি, মেরে দিবি বাংলা,
  সেইকালে ভেবেছিল হুঁকোমুখো হ্যাংলা।
  আজকাল তেলে জলে, নুনে ক্ষীরে মিশ খায়,
  দ্বন্দ্ব বা ধন্দটা সুড়সুড়ি চামড়ায়।
  সাইকেলে ধোঁয়া হয়, মরুতে পালং শাক,
  ইতিহাঁস বলে হেঁসে যা গেছে তা দূরে যাক।
  কাজে কাজে নামিয়ে দে ন্যাকাবোকা অ্যালায়েন্স,
  তারপর মাখোমাখো, তবে নয় রিলায়েন্স।
  কি দিলাম বলো মামু কন সাল টেন্সি,
  চল ছুটে নলবন বেলঘোরে পান্সী।
  কমিশন পেজ থ্রিতে উদ্দাম রম্ভা,
  কাঁধে হাত প্যালারাম ধুম মচা সাম্বা"।
  ন্যাকাবোকা প্রণমিল,"কি ব্যাপক ফান্ডা,
  কাল থেকে দোঁহে মিলে পাড়ি গোটা আন্ডা"।
  আন্ডা ও ডান্ডায় কলিকাল ভৃত্য,
  ন্যাকা ইসে বোকা ইয়ে কুচিপুড়ী নৃত্য।
  ন্যাকা বোকা কা কা ডাকে রোজ খোলা জালনায়,
  বিধবার সাদা শাড়ী ধু ধু সব আলনায়।


(গুরুচণ্ডালী তিনে পূর্বপ্রকাশিত)

No comments:

Post a Comment