Thursday, July 15, 2010

ভালোবাসা বিষয়ক



হারিয়ে যাওয়া দরজা
এবং ফুরিয়ে যাওয়া স্বর,
তার মধ্যে বসত করেন
নাচার লখিন্দর।

নয় দরোজায় রাতপাহারা
শুনশান আশমান,
নদীর বুকে বাঁধ, কিন্তু
পাশেই গোরস্থান।

গোরস্থানের আতরগন্ধ
মাথায় করেন ভর,
কাফন থেকে লুকোচুরি
খেলেন লখিন্দর।

সাড়ে তিনহাত গাছের হাওয়ায়
নিভছে হারিকেন,
পড়ছি নিজের জানাজা
তাও তিলপরিমাণ প্রেম।



গড়িয়া থেকে মাঠপুকুরের তিৎকুটে এক ভিড়
বাক্সোবাসের করুণ কোণে চোখের মাথা খেয়ে
ঘাড় ঘোরাতেই অবাক আলোয় পড়ল ধরা
অনাঘ্রাত তিল;
ঢাকল মৌটুসি মোবাইল।



ভালোবাসা পেলে আমি মোটেও লণ্ডভণ্ড যাব না,
জবুথুবু আলাভালা বসে থাকব ছড়ানো রোদ্দুরে।
বস্তুতঃ সেরকম ভালোবাসা পেলে কেই বা বেঁচে থাকে?
মরে যায় পুনর্জন্মে ভালবাসা ফিরে পাবে বলে।



চুমু তোমার ভ্রণে
যখন লুকোনো আশ্বিনে
বাউল এবং দেবী
আঁকেন শরীরজোড়া ছবি;
কাঁপে তীব্র রেখাব স্বর,
গড়ি ঘরের মধ্যে ঘর।



পাঁচ মানুষের ভিড়,
গৃহস্থ অস্থির।
চার মানুষের মাথা,
কথার পিঠে কথা।
তিন মানুষের বংশ,
সৃষ্টি পালন ধ্বংস।
দুই মানুষের ঘর,
কোথায় অবসর?
একটি মানুষ একা,
ঈশ্বরী দেন দেখা।

(বাংলালাইভ বৈশাখী আই-পত্রিকা ১৪১৬)

হিসেব

যতটা থাকে ততটাই যায়,
তার বেশি তো যায় না;
তবুও সারা সকালসন্ধে
মুখের সামনে আয়না।

আয়না যেন ঘরের আড়াল
আটকে রাখে হাওয়া,
আয়না বড় লক্ষ্মীমন্ত
যখন যেমন চাওয়া।

যেভাবে হবার সেভাবেই হয়
অন্যভাবে হয় না;
যতই লুকাও শমীবৃক্ষে
অস্ত্র এবং গয়না।

(বাংলালাইভ শারদীয় আই-পত্রিকা ১৪১৬)